এবার প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ পড়েছেন উইঙ্গার অ্যান্তনি। গতকাল সোমবার ৪ সেপ্টেম্বর অ্যান্তনির সাবেক প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএল। মূলত সেখানেই সেলেসাওদের এই স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর তা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সাও পাওলো এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। এদিকে অ্যান্তনির ভাষ্য, আমি শান্তভাবে বলতে চাই, অভিযোগগুলো মিথ্যা। প্রমাণগুলো এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং আরও কিছু প্রমাণ তৈরি করা হচ্ছে, যা দেখাবে যে আমি নির্দোষ। আমার বিশ্বাস, চলমান পুলিশি তদন্ত আমার নির্দোষ হওয়ার সত্যতাকে সামনে আনবে।
এ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) বলছে, সোমবার যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে সেগুলোর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই জাতীয় দল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়া এবং পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আর্সেনাল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে ডাকা হয়েছে।
অ্যান্তনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাবেক বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলা কাভালিনকে গত ১৫ জানুয়ারি ম্যানচেস্টারের এক হোটেলের রুমে নির্যাতন করেছেন অ্যান্তনি। সে সময় গ্যাব্রিয়েলাকে আঘাতও করেন সেলেসাওদের এই উইঙ্গার। যে কারণে গ্যাব্রিয়েলার মাথা কেটে যায় এবং পরে চিকিৎসাও নিতে হয়। গ্যাব্রিয়েলা এ-ও অভিযোগ করেছেন, তার বুকে আঘাত করেছেন অ্যান্তনি। এতে তার কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা স্তনের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তাকে আবার অস্ত্রোপচার করতে হয়।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে অশান্ত সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যান্তনি। তবে তার দাবি, তিনি কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেননি। এরও আগে, গত জুনে এক বিবৃতিতে অ্যান্তনি দাবি করেন, সাবেক প্রেমিকা তার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতার মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।
এদিকে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের (জিএমপি) দাবি, অভিযোগগুলোর বিষয়ে তারা সচেতন এবং সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত চলমান। অন্যদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে অ্যান্তনির ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ক্লাবটি।